Posts

বোন! তুমি কি পুরুষের সঙ্গে কাজ করছ?

Image
  বোন! আমি মর্মাহত, আমি ব্যথিত এবং খুবই দুঃখিত আমি। না, আমার কোন কারণে নয়, শুধু তোমার জন্য এবং শুধু তোমার কল্যাণের কথা চিন্তা করেই। তুমি কাজ করছ! তাও আবার পুরুষের সঙ্গে এবং তাদের মাঝে থেকেই। কারণ, এটা তোমার দীনদারি খতম করে দিবে, তোমার চরিত্রের ওপর কলঙ্কের ছাপ এঁটে দিবে। এটা আমার মায়াকান্না নয়, আমার কথাগুলো তুমি নাক সিঁট্কে ফেল দিও না এবং মনে কর না আমি খুব বাড়াবাড়ি করছি, বরং আমার কাছে এর প্রমাণ রয়েছে। আছে এর যুক্তি সংগত কারণ। মনে রেখো, ইসলামের সম্পর্ক ছাড়া তোমার সঙ্গে আমার আর কোন সম্পর্কই নেই। এবং এর সঙ্গে আমার কোন ইহজাগতিক স্বার্থও সংশ্লিষ্ট নয়। বরং এর দ্বারা আমার সময় ও শ্রম ব্যয় হচ্ছে, মেধার ক্ষয় হচ্ছে। আশা করছি আমার এ কথাগুলোর মূল্য তুমি দিবে। আমি যা বলছি তুমি তা বারবার চিন্তা করবে। তবে অবশ্যই তুমি আমাকে তোমার একান্ত হিতাকাঙ্ক্ষী জ্ঞান করবে। জেনে রখো, পুরুষের সঙ্গে যে কোন সহাবস্থানে নারী সঙ্কুচিত ও নির্যাতিত থাকে। যদি না তার সঙ্গে তার মাহরাম থাকে। কারণ, পুরুষরা সাধারণত নারীর দিকে প্রবৃত্তি ও কামভাব নিয়েই তাকায়। এর বিপরীত যে বলবে সে মিথ্যুক। কারণ, আল্লাহ তাআলা পুরুষের মধ্যে নারীর প্রত

পুরুষ এবং মহিলাদের সলাত কি আলাদা আলাদা নিয়ম? জাকির নায়েক

Image
  প্রশ্নঃ   পুরুষ এবং মহিলারা যখন সলাত আদায় করে তখন আলাদা নিয়মে কেন আদায় করে? উত্তরঃ  ডাঃ জাকির নায়েক বাজারে অনেক বই পাবেন যেখানে সলাত আদায়ের বিভিন্ন নিয়ম-কানুন দেয়া আছে। বেশির ভাগ বইয়ে আলাদা একটা অধ্যায় থাকে যে, মহিলারা কিভাবে সলাত আদায় করবে এবং পুরুষরা কিভাবে সলাত আদায় করবে। আর সেখানে নিয়মগুলো আলাদা। সত্যি বলতে এমন কোনো সহীহ হাদীস খুঁজে পাওয়া যাবেনা যেটা বলছে মহিলারা সালাত আদায় করবে পুরুষদের থেকে ভিন্ন নিয়মে। আর আপনি যদি সহিহ বুখারি পড়েন এটা ১ম খন্ডে পাবেন, উম্মে দারদা (রা) তাশাহুদে বসেছিলেন পুরুষদের মতো করে। আর তিনি এমন একজন ছিলেন যিনি ধর্মীয় বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান রাখতেন, এরকম আরো অনেক সহীহ হাদীস আছে যেগুলোর বর্ণনা দিয়েছিলেন আইশাহ (রা) ও নাবী (স) এর অন্যান্য স্ত্রীরা আর অন্য মহিলা সাহাবীরা। আল্লাহ্‌ তাদের শান্তিতে রাখুন। তবে তাদের কেউ বলেন নি পুরুষ এবং মহিলাদের সলাত আদায় করার নিয়ম একবারে আলাদা। রাসূলে করীম (সঃ) বলেছেনঃ ইবাদত করো সেভাবে যেভাবে আমাকে ইবাদত করতে দেখো। কাজেই পুরুষ এবং মহিলারা সালাত আদায় করবে একই রকম নিয়মে। শেয়ার করে ইসলামের শাশ্বত বাণী সকলের কাছে পৌ

পিতা-মাতার হক কয়টি? ও কি কি

Image
  পিতা - মাতার হক ১৪ টি, ৭ টি জীবিত অবস্থায়, ৭ টি মৃত্যুর পর। জীবিত অবস্থায় ৭ টিঃ ১. আজমত অর্থাৎ পিতামাতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া। ২. মনে প্রাণে মুহাব্বত করা। ৩. সর্বদা তাঁদেরকে মেনে চলা। ৪. তাঁদের খেদমত করা। ৫. তাঁদের জরুরত (প্রয়োজন) পুরা করা। ৬. তাঁদেরকে সর্বদা আরাম পৌঁছানোর ফিকির (চিন্তা ভাবনা) করা। ৭. নিয়মিত তাঁদের সাথে সাক্ষাৎ ও দেখাশুনা করা। মৃত্যুর পর আরো ৭ টিঃ ১. তাঁদের মাগফিরাতের জন্য দু‘আ করা। ২. সওয়াব রেছানী করা। ৩. তাঁদের সাথী-সঙ্গী ও আত্মীয়-স্বজনদের সম্মান করা। ৪. সাথী-সঙ্গী ও আত্মীয়-স্বজনের সাহায্য করা। ৫. ঋন পরিশোধ ও আমানত আদায় করা। ৬. শরী‘আতসম্মত ওসিয়ত পুরা করা। ৭. মাঝে মাঝে তাদের কবর যিয়ারত করা।

স্বামী-স্ত্রীর অধিকার

Image
  স্বামী স্ত্রী এর সম্পর্ক একটি মধুর সম্পর্ক।আল্লাহ এবং রাসূল (সাঃ) এর পরে একজন স্ত্রী এর কাছে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসার পাএ তার স্বামী। ইসলাম আল্লাহর মনোনীত পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। তাই ইসলামে যেভাবে নারীর অধিকার সংরক্ষিত হয়েছে, ঠিক তেমনি স্থান পেয়েছে স্বামীর অধিকারও। বিবাহ স্বামী-স্ত্রীর মাঝে একটি সুদৃঢ় বন্ধন। আল্লাহ তাআলা এর চির স্থায়িত্ব পছন্দ করেন, বিচ্ছেদ অপছন্দ করেন। মহান আল্লাহ বলেছেনঃ "তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর। আর নিজেদের জন্য আগামী দিনের ব্যবস্থা কর এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাক। আর নিশ্চিতভাবে জেনে রাখ যে, আল্লাহর সাথে তোমাদেরকে সাক্ষাত করতেই হবে। আর যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে সুসংবাদ জানিয়ে দাও।"  সূরা বাকারাঃ আয়াত-২২৩। হাদিসে এসেছেঃ "কোন স্ত্রী যদি তার স্বামীর বিছানা পরিহার করে রাত কাটায় তবে ফেরেশতারা সকাল পর্যন্ত তাকে অভিশাপ দিতে থাকে।"  মুসলিমঃ ইংরেজী অনুবাদঃ ৩৩৬৬। স্ত্রী স্বামীকে নাম ধরে ডাকতে পারে কি? স্ত্রীর নিকট স্বামী হ’লেন সবচেয়ে সম্মানের পাত্র। অতএব যেভাবে ডাকলে স্বামী খুশি হবেন সেভাবে ডাকা